পলাশ, বসন্তের প্রথম ফুল ।



পলাশ, বসন্তের  প্রথম ফুল ।

পলাশ, অরন্যের অগ্নিশিখা ।  








পোস্ট সূচীপত্র ঃ


শিরোনাম ঃ


পলাশের উজ্জ্বল, লাল বসন্তের আগমন বার্তা, ঘোষনা করে।
গ্রামে গঞ্জে পথের ধারে পলাশের প্রাচুর্য চোখে পড়ে, পলাশ লেগু মিনাস গোত্রের গাছ। 


নামের ভিন্নতা ঃ

 
বৈজ্ঞানিক নাম: BUTEA MONOSPERMA 
সংস্কৃত নাম: কিংশুক 
ইংরেজী নাম: FLAME OF THE FOREST


বর্ণনা ঃ


গাছ মাঝারি আকৃতির, কান্ড বহু শাখায়  বিভক্ত, গাঁট যুক্ত, বাকল পুরু, অমশ্রিণ ও ধূসর
পাতা যৌগিক ও ত্রিপত্রিক, হিন্দু সমাজে এই ত্রিপত্র- ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শীবের প্রতীক। ফুল কমলা, লাল কুঁড়ি গুলো দেখতে বাঘের নখের মতো। বোঁটা, বৃত্তি বাদামি ও মখমল কোমল। ফুল প্রস্ফুটনের সময় মনে হয় বনে আগুন লেগেছে। এর জন্য পলাশের ইংরেজী নাম: ফ্লাইম অফ দা ফরেস্ট,
বা অরণ্যের অগ্নিশিখা।

পলাশের প্রাচুর্যতার কারণেই পলাশীর মাঠ হয়েছে বলে জনস্রতী রয়েছে। 


উপকারী দিক ঃ

শুধু সৌন্দর্যেই নয়, পলাশের নানা ভেষজ গুণও আছে। এর ছাল, ফুল ও বীজ বহুদিন ধরেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।


উপসংহার ঃ


পলাশ শুধু বসন্তের সৌন্দর্য নয়, এটি প্রাণের উজ্জ্বলতা।
যখন প্রকৃতিতে কিছুই নেই, তখনই পলাশ বলে—“আমি এসেছি, দেখো, রং ফিরে এসেছে!”
তাই প্রতি বছর বসন্ত এলে পলাশ আমাদের মনে করিয়ে দেয়:
নতুন শুরু সবসময়ই সম্ভব, যদি হৃদয়ে আগুন থাকে।





                                                                                                                            "সানজীদ বর্ষা"
                                                                                                                           [sanjidbarsha.com]








এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সানজীদ বর্ষার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url